ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের গণবিরোধী কর্মকাণ্ডের ন্যায় চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, টেন্ডারবাজি, সিন্ডিকেট ও হাট-বাজার-বাসস্ট্যান্ড দখল, ব্যবসার কমিশন দাবি, অপরের জমির ধান কেটে নেয়ার মতো অভিযোগ উঠেছে । এগুলো প্রমাণ করে কোন কোন রাজনৈতিক দল নব্য ফ্যাসিস্ট হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে, যা দুঃখজনক ও জুলাই বিপ্লবের শহীদদের রক্তের সাথে প্রতারণা ।
এতে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, আলহাজ্ব মুহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম ও ছাত্র নেতা ইউসুফ আহমাদ মানসুর প্রমূখ।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, জনগণের বন্ধু ও সেবক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর সদস্য পুলিশ ঘুষ গ্রহণ করলে ফ্যাসিবাদ আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। পুলিশকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। সাধারণ নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার হবে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে উঠবে। আদালতে বিচারের ক্ষেত্রে মানুষের অপেক্ষার সময় বৃদ্ধি পাবে। চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই ও খুন-ঘুমের ঘটনা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে। দুর্নীতি দুঃশাসন চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি সিন্ডিকেট জনগণের রক্ত চুষে নিবে। ৫ আগস্ট পরবর্তী দেশের মানুষ এগুলো আর দেখতে চায় না। দেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে শুরু করেছে। তাঁরা অধিকারের জন্য যে কোন সময়ে রাস্তায় নেমে আসতে প্রস্তুত।
অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ বলেন, পুলিশের ঘুষ দুর্নীতি বন্ধ না হলে সমাজে বিশৃঙ্খলা প্রকট আকার ধারণ যেমন করতে পারে তেমনি 'মব জাস্টিস' এর মতো দুঃখজনক ঘটনা ঘটনারও আশঙ্কা দেখা দেয় ।