
ট্রাম্প ও জেলেনস্কির বৈঠক: যুদ্ধের সমাধান কি হতে যাচ্ছে?
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। শুক্রবার ট্রাম্প টাওয়ারে এই বৈঠকটি হতে পারে বলে জানিয়েছে বিবিসি। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, বিশেষ করে ৫ নভেম্বরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে।
ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত এবং জেলেনস্কির আশা
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, জেলেনস্কি অনেক দিন ধরেই ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে চাইছিলেন। তবে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত দোদুল্যমান ছিল, যা শেষ পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের জন্য নতুন করে ৮ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ঘোষণা করার পর পরিবর্তিত হয়।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ট্রাম্পের পরিকল্পনা
নতুন সামরিক সহায়তা মূলত ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে জয়ী হতে সহায়তা করার লক্ষ্যে দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্প বলেন, যদি তিনি আসন্ন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে পরাজিত করতে পারেন, তাহলে তিনি রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে দ্রুত একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে সক্ষম হবেন। তিনি আরও বলেন, “জেলেনস্কি আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন, এবং আমি আগামীকাল তার সঙ্গে বৈঠক করব।”
শান্তি চুক্তি এবং রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা
এই বৈঠকের ঘোষণার আগে, ট্রাম্প প্রশ্ন তোলেন যে ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তির জন্য কিছু ভূখণ্ড ছাড়তে হতে পারে কিনা। যদিও তিনি সরাসরি তা অস্বীকার করেননি, বিষয়টি নিয়ে তিনি মন্তব্য করেন, “আমরা দেখব কী করা যায়।” অন্যদিকে, কমলা হ্যারিস ইউক্রেনের প্রতি তাদের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং ইঙ্গিত দেন যে যারা ইউক্রেনের জমি বিনিময়ের মাধ্যমে শান্তি চুক্তি করতে চান, তারা আসলে ‘আত্মসমর্পণের প্রস্তাব’ দিচ্ছেন।
বৈঠকের গুরুত্ব
জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের এই বৈঠক বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি তাদের মধ্যে প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ হবে ২০২১ সালে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সি শেষ হওয়ার পর থেকে। যদিও চলতি বছরের জুলাইয়ে তাদের মধ্যে ফোনে কথোপকথন হয়েছিল, সরাসরি বৈঠকের মাধ্যমে ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু হতে পারে।
উপসংহার
ট্রাম্প ও জেলেনস্কির বৈঠক ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা এবং সামরিক সহায়তার প্রসঙ্গ এ বৈঠককে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। এখন দেখার বিষয়, এই বৈঠক থেকে কী ধরনের সমাধান উঠে আসে এবং সেটি ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতির ওপর কী প্রভাব ফেলে।