
দুর্গাপূজায় ভারতের বাজারে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিল বাংলাদেশ
দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। শনিবার, মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সুলতানা আক্তার স্বাক্ষরিত একটি আদেশে এই তথ্য জানানো হয়।
আদেশে উল্লেখ করা হয়, রপ্তানিকারকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত শর্তপূরণ সাপেক্ষে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ আমদানির আবেদন জানায় ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। গত ১১ সেপ্টেম্বর এই চিঠি প্রদান করে তারা।
ভারতীয় ব্যবসায়ীদের চিঠিতে বলা হয়, ১৯৯৬ সাল থেকে প্রতি বছর গড়ে ৫ হাজার টন ইলিশ বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানি হতো। তবে ২০১২ সালে অজ্ঞাত কারণে এই রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। গত পাঁচ বছর ধরে শুধুমাত্র দুর্গাপূজার সময়ে বিশেষ বিবেচনায় ইলিশ রপ্তানির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
এই সিদ্ধান্তে ভারতের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের থেকে ইলিশ আমদানির জন্য বিশেষ অনুমতি চেয়েছিলেন।
সম্প্রতি ইলিশ রপ্তানি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়, যখন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের বক্তব্যে বিষয়টি উঠে আসে।
গত ১১ আগস্ট, সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফরিদা আখতার জানান, দেশের মানুষের চাহিদা মেটানোর পরই ইলিশ রপ্তানি করা হবে। তিনি বলেন, “দেশের মানুষ যাতে ইলিশ মাছ পায় এবং দাম কমে, সেই উদ্যোগ নেওয়া হবে। দেশের মানুষ ইলিশ পাবে না, আর রপ্তানি হবে, সেটা হতে পারে না।”
তিনি আরও প্রতিশ্রুতি দেন, ইলিশের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে পাচারের সময় ইলিশ জব্দের বেশ কয়েকটি ঘটনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।
- দুর্গাপূজা ২০২৪
- ইলিশ রপ্তানি বাংলাদেশ থেকে
- ভারতের ইলিশ চাহিদা
- দুর্গাপূজার ইলিশ বাজার
- বাংলাদেশ ইলিশ রপ্তানি অনুমোদন
- ইলিশের দাম
- ফরিদা আখতার ইলিশ বক্তব্য