
ডিম-মুরগির দাম নির্ধারণ: আ’গু’নে ঘি ঢাললো সরকার?
বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার ডিম, সোনালি ও ব্রয়লার মুরগির দাম নির্ধারণ করেছে। কিন্তু নতুন দাম নির্ধারণের পরদিনই বাজারে পণ্যগুলোর দাম বেড়ে গেছে। ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে, এবং প্রশ্ন উঠেছে— সরকার কি দাম নির্ধারণ করে ‘আগুনে ঘি ঢাললো’?
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ডিম ও মুরগির দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে গেছে। ব্রয়লার মুরগি এখন কেজিপ্রতি ১৮০-১৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা দুইদিন আগেও ছিল ১৭০ টাকা। সোনালি মুরগির দাম ৩০০ টাকা, যা আগে ছিল ২৮০ টাকা। দেশি মুরগির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১০-১৫ টাকা বেড়েছে।
ক্রেতাদের প্রতিক্রিয়া:
মধ্যবাড্ডার বাজারে এক ক্রেতা মো. আব্দুর রহিম বলেন, “শেখ হাসিনার পতনের পর আমরা ভেবেছিলাম জিনিসপত্রের দাম কমবে। কিন্তু এখন দেখি দাম আরও বেড়ে গেছে।”
আরেক ক্রেতা আল-আমীন মিয়া বলেন, “যারা নিয়মিত মাছ-মাংস খেতে পারে না, তাদের জন্য ডিমই ছিল ভরসা। এখন দেখছি ডিমের দামও বেড়ে গেছে।”
ব্যবসায়ীদের প্রতিক্রিয়া:
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক বন্যায় অনেক খামার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সরবরাহ কমে গেছে। ভারত থেকে ডিম আমদানি করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। এছাড়া পাইকারি বাজারেও দাম বেড়ে গেছে, যা খুচরা বাজারেও প্রভাব ফেলছে।
এক ব্যবসায়ী নাহিদ রানা বলেন, “সরকার দাম নির্ধারণ করলেও বাজারে তার প্রভাব উল্টো। আড়তদাররা বলছে, বাজারে ডিমের সংকট রয়েছে।”
সরকারের সিদ্ধান্ত:
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ডিম ও মুরগির নতুন দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। ডিমের খুচরা মূল্য ১১ টাকা ৮৭ পয়সা এবং ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা। কিন্তু বাজারে এই দাম কার্যকর হয়নি বলে ক্রেতা ও বিক্রেতারা অভিযোগ করছেন।
এই পরিস্থিতি সামাল দিতে বাজারে তদারকি এবং সরবরাহ বাড়ানোর প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।